শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক গবেষণা

               শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক গবেষণা



শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক ধরনের সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি :


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি একটি প্রস্তুত গবেষণা প্রক্রিয়ামূলক উপায় যার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও জনগণের সামাজিক অবস্থার বিষয়ে জ্ঞান সংগ্রহ এবং বৃদ্ধি করা হয়। সামাজিক গবেষণা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধারণভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা নিম্নলিখিত কিছু ধাপে কার্যকর হয়:


সমস্যা নির্ধারণ: প্রথমে গবেষকগণ সামাজিক সমস্যার নির্ধারণ করে যা গবেষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য। এটি সামাজিক ভূমিকা, অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বা আর্থিক অবস্থা বা অন্যান্য বিষয়ে উপস্থাপন করতে পারে।


উদ্দীপনা এবং উদ্দীপনা: সামাজিক গবেষণা প্রক্রিয়া উদ্দীপনা করতে পারে সমাজের সমস্যা বা সমস্যা সামাধানে যে ধরনের প্রয়োজন আছে তা উদ্দীপনা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিক বিষয়ে প্রস্তুতি করতে পারে যেমন সক্ষমতা বিকাশ, সামাজিক সমমান ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রচার-প্রচার ইত্যাদি।


তথ্য সংগ্রহ: গবেষকগণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বিভিন্ন উৎস থেকে, যেমন প্রাথমিক সাধারণ জনগণ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারী তথ্য সংস্থা, অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া রিপোর্ট, ইত্যাদি।


পরিসংখ্যান: সামাজিক গবেষণা প্রক্রিয়া পরিসংখ্যানের ব্যবহার করতে পারে সমাজের বিভিন্ন পার্থক্য ও অনুভবের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে বা সামাজিক সমস্যার কারণের সন্ধানে।


গবেষণা উদ্দেশ্যে উপযুক্ত সাধারণ উপায়: সামাজিক গবেষণা প্রক্রিয়ামূলক গবেষণা উপযুক্ত উপায়ে বিভিন্ন সমাজের অধ্যয়নের মাধ্যমে গবেষ


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পিলফোর্ডের soi মডেল বা বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্বটি আলোচনা কর

পিলফোর্ডের SOI মডেল বা বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্ব দুটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধিতত্ত্বের উপর ভিত্তি রাখে যা মানব বুদ্ধির গঠন এবং পোষণের সংদর্ভে ব্যবহৃত হয়। 1 . SOI মডেল (Scholarly and Occupational Interests): SOI মডেল মানব বুদ্ধির একটি মডেল যা ব্যক্তিদের শিক্ষাগত এবং পেশাদান আগ্রহগুলি মাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এই মডেলে মানব বুদ্ধির চার প্রধান আগ্রহের উপর ভিত্তি রাখা হয়: সাধারণ আগ্রহ, শিক্ষাগত আগ্রহ, পেশাদান আগ্রহ, এবং ইচ্ছাশক্তি। মানব বুদ্ধি এই চারটি আগ্রহের উপর ভিত্তি রাখে এবং এই আগ্রহগুলির ভিত্তিতে ব্যক্তিদের শিক্ষা এবং পেশাদান পথ পরিচালিত হতে সাহায্য করে। 2 . বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্ব: বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্ব মানব বুদ্ধির গঠন এবং কার্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞতা এবং সাধারণ আগ্রহের তিনটি বুদ্ধিমাত্রার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে। এই তত্ত্বে তিনটি মানসিক প্রক্রিয়া রয়েছে: 3 . কম্প্রেহেনশন (Comprehension): এটি জ্ঞান এবং তথ্যের মধ্যে সর্বদা চাপা খাওয়া প্রক্রিয়া, অর্থাৎ যেটি আমরা জানি। অ্যাপ্লিকেশন (Application): এটি নতুন সমস্যা সমাধানে আমাদের জ্ঞান এবং কৌশলের ব্যবহার করার ক্ষমতা, অর্থাৎ যেটি আমরা করতে প...
আরও পড়ুন

1: গুরু নানক তাৎপর্য টিকা ?

গুরু নানক (১৫৯০-১৫৩৯) ছিলেন সিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং তার শিক্ষা ও দর্শন ভারতের ধর্মীয় এবং সামাজিক ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তার তাৎপর্য: 1. **ঈশ্বরের একত্ব**: গুরু নানক তার ধর্মীয় শিক্ষায় ঈশ্বরের একত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ঈশ্বর এক, অনন্ত এবং অদৃশ্য, এবং সকল ধর্ম ও জাতির মানুষকে ঈশ্বরের দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়। 2. **সামাজিক ন্যায় ও সমতা**: গুরু নানক সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি জাতি, ধর্ম ও সামাজিক শ্রেণীভেদ ভুলে সকলকে একসাথে ভাবার এবং সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। 3. **সাধু জীবন ও ভক্তি**: তিনি একজন সাধু জীবনযাপন করতেন এবং ভক্তি ও সৎ জীবনযাপনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। তার জীবন এবং শিক্ষা ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তি এবং সরল ও সৎ জীবনযাপনের ওপর জোর দেয়। 4. **সাধারণ ভাষায় শিক্ষা**: গুরু নানক তাঁর শিক্ষা সাধারণ মানুষের জন্য সহজ ভাষায় প্রদান করেছেন, যা তার শিক্ষা ও দর্শনকে জনপ্রিয় ও বিস্তৃত করতে সাহায্য করেছে। গুরু নানকের শিক্ষা আজও সিখ ধর্মের মূল ভিত্তি এবং তার দর্শন মানবতার কল্যাণ ও সামাজিক সাম্যর দিকে আগ্রহী।
আরও পড়ুন

Sociology And Common Sense

Sociology And Common Sense  1 : সমাজতত্ত্ব ও সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি বা সাধারণ অবধারণা :                                                  সাধারণভাবে প্রায়ই বলা হয় যে , সমাজতাত্ত্বিক বিষয়েদি সম্পর্কে অল্প বিস্তার ধারণ আমাদের আছে । নিজেদের জীবন ধারাতেই অনেক সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। অথবা সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে এসব জানা যায় । সাধারণ জ্ঞান ভিত্তি সিদ্ধান্তে অনুমান মূলক এবং কুসংস্কার , ভ্রান্ত ব্যাখ্যা , এলোমেলো সমীক্ষা , ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর প্রতিষ্ঠিত । আগের দিনে সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী বলা হতো যে পৃথিবী সমতল । পরবর্তীকালে তা ভুল প্রমাণিত হয়  ।এইরকম অনেক সাধারণ জ্ঞান ভ্রান্ত , এমনকি বিপজ্জনক ও । অন্য দেশ ও জাতির সমাজ সম্পর্কিত আলোচনায় এই সাধারণ জ্ঞান অচল  । অন্যান্য বিজ্ঞানীদের  মতে সমাজতাত্ত্বিক অবস্থান  ও  অভিন্ন । প্রতিটি তথ্য সুসংবদ্ধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত ও নীতিভুক্ত হওয়ার আবশ্যি...
আরও পড়ুন