Sociology And Common Sense

Sociology And Common Sense

 1 : সমাজতত্ত্ব ও সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি বা সাধারণ অবধারণা : 

                                                সাধারণভাবে প্রায়ই বলা হয় যে , সমাজতাত্ত্বিক বিষয়েদি সম্পর্কে অল্প বিস্তার ধারণ আমাদের আছে । নিজেদের জীবন ধারাতেই অনেক সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। অথবা সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে এসব জানা যায় । সাধারণ জ্ঞান ভিত্তি সিদ্ধান্তে অনুমান মূলক এবং কুসংস্কার , ভ্রান্ত ব্যাখ্যা , এলোমেলো সমীক্ষা , ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর প্রতিষ্ঠিত । আগের দিনে সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী বলা হতো যে পৃথিবী সমতল । পরবর্তীকালে তা ভুল প্রমাণিত হয়  ।এইরকম অনেক সাধারণ জ্ঞান ভ্রান্ত , এমনকি বিপজ্জনক ও । অন্য দেশ ও জাতির সমাজ সম্পর্কিত আলোচনায় এই সাধারণ জ্ঞান অচল  । অন্যান্য বিজ্ঞানীদের  মতে সমাজতাত্ত্বিক অবস্থান  ও  অভিন্ন । প্রতিটি তথ্য সুসংবদ্ধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত ও নীতিভুক্ত হওয়ার আবশ্যিক   সমাজ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধি সামাজিক অবধারনার অন্তর্ভুক্ত  বোধবুদ্ধি আমযানতা  গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সমাজ সম্পর্কিত সাধারণ অবধারণা এবং সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান সম্পর্কে সমাকভাবে অবহিত হওয়া  আবশ্যিক ।

সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি বা অবধারণার  অর্থ    : 

এই সামাজিক দুনিয়া সম্পর্কে সাধারণ  সকলেই অল্প বিস্তার ধারণা বা বোধ বর্তমান । সাধারণ ধ্যান ধারণা বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ মাধ্যমে এক ধরনের সামাজিক পটভূমি হয়। এই সমস্ত সাধারণ ধারণাকে বা বোধকে তা  যেমনই হোক না কেন , তাকে অকপট এবং অনিবার্যভাবে ভূল বলা যায় না । এই সমস্ত সাধারণ ধারণাকে বা বোধকে সাধারণভাবেই সহজ সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়। অর্থাৎ সাধারণ ধারণা ধরে নেওয়া বা মনে করা  ভিত্তিশীল । সাধারণ ধারণার সঙ্গে সমাজতাত্ত্বিক ধারণের জ্ঞানের পার্থক্য প্রতিপন্ন হয়। প্রকৃত   প্রস্তাবে  , সাধারণ ধারণা উপর প্রতিষ্ঠিত বিষয় বক্তব্য প্রত্যেকের সঠিক বলে মনে করে ।

       সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানের অর্থ : 

সমাজতাত্ত্বিকরা যুক্তি ও সাক্ষ্য_ প্রমাণ  অবতারণা ব্যাপারে বিশেষভাবে আগ্রহী । কারণ সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান কোন না 
কোন ভাবে পরীক্ষিত সত্যর উপর প্রতিষ্ঠিত । 

সাধারণ ধারণা ও সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য : 


 পার্থক্যমূলক আলোচনার পরিপেক্ষিতে অবহিত হওয়া সম্ভব হবে যে  , সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানের উদ্ভব হচ্ছে সমাজতাত্ত্বিক ভাবেই । বিপরীত কর্মে ধারণা ভিত্তিক ব্যক্তিসাম্য প্রতিষ্ঠিত থাকা অনুমান বা ধরে নেওয়া উপর । এর থেকে সামাজিক দুনিয়া সম্পর্কে প্রমাণিত সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য পরিচয় যায় না ।

  সমাজতত্ত্ব ও অবধারনা: 

ব্যক্তিগত সাধারণ বোধের পরিপেক্ষিতে সাধারণ মানুষ সমাজ সম্পর্কিত  বিষয়দি নিয়ে সাধারণ অবধারনা তৈরি করে। সাধারণ বোধ সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানের  নয় । সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান হলো তাত্ত্বিক বিকাশ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা  জ্ঞান  : অপরদিকে সাধারণ ধারণামূলক জ্ঞান নিছক অনুমান হয় । 

সাধারণ জ্ঞান ও সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য : 


যে সমস্ত ধ্যান ধারণা অর্জন করা হয় তাকে সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধি বা অবধারণা হিসেবে অবহিত করা হয় । ধরে নেওয়া  ধারণা বা জ্ঞানের ভিত্তিতে স্বাভাবিক সাধারণত অবধারনার সঙ্গে সমাজতত্ত্বের  সম্পর্কে সুদীর্ কালে। এক্ষেত্রে মূসমস্যা এটা  নয় যে সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধি মাত্রই ভুল , মূলত সমস্যা হলো সাধারণ অবধারণা অপাকক্ষত প্রতি এবং ধরে নেওয়া বিষয় । সমাজতত্ত্ব সাধারন অবধারণা থেকে স্বতন্ত্র এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ব্যক্তির সমূহ বিশেষভাবে  প্রসঙ্গীক ।
1 ; সাধারণ অবধারণা সাধারণত ব্যক্তিগত বিচার  উপর  ভিত্তিশি ল ।  অপরদিকে সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান  মূলক ধারণা  প্রক্রিয়া এবং পরিসংখ্যা মূলক বিশেষদ দ্বারা পরিপুষ্ট । 
2 ; সমাজতাত্ত্বিক আলোচনায় যুক্তি , নাই সঙ্গত কারণে সাধারণ অবধারনায় আন্দাজ অনুমান ও বাধা ধারা বিশ্বাসকে ব্যহার করা হয়।

  সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান ও সাধারণ অবধারনার মধ্যে সাদৃশ্য :


সমাজতাত্ত্বিক জ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধির মধ্যে বৈসাদৃশ্য মূলক আলোচনা সব নয়। এই দুয়ের মধ্যে সাদৃশ্য সূচনা দিকগুলি চিহ্নিত করা আলোচনা করা আবশ্যিক । এক্ষেত্রে নিম্নলিখি বিষয়গুলি প্রসঙ্গে ।
  • 1 ; পৃথক একটি দৃষ্টি ভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে gramsci এর অভিমত অনুযায়ী সাধারণ অবধারণা আমজনতার  সঙ্গে সংযুক্ত  ও সম্পর্কিত এবং তাত্ত্বিক চিন্তাধারা alit সংযুক্ত ।
  •   2  ; সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধি বিচার বিবেচনা পরিপ্রেক্ষিতে সমাজতাত্ত্বিক ধারণা সমূহ গঠিত হয় । নারী পুরুষ সম্পর্কিত সাধারণ  সমাজতত্ত্বের ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়।    

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পিলফোর্ডের soi মডেল বা বুদ্ধির ত্রিমাত্রিক তত্ত্বটি আলোচনা কর

1: গুরু নানক তাৎপর্য টিকা ?